শনিবার, ০১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১০:০৬ পূর্বাহ্ন

News Headline :
হোসেনপুরে বৃদ্ধি পাচ্ছে বিবাহ বিচ্ছেদ ইট বৃষ্টির মধ্যে সংঘর্ষ থামাতে দৌড়ালেন শ্যামনগরের ইউএনও রণী খাতুন পাবনা ঈশ্বরদীর লক্ষ্মীকুন্ডায় ৩ ইটভাটায় অভিযান ২ লাখ টাকা জরিমানা এবার রাজশাহীর বাগানগুলোতে ফুটছে আগাম আমের মুকুল সাংবাদিক কল্যাণ তহবিলের বাৎসরিক ফ্যামিলি ডে পালিত জব্দ ট্রাক ছাড়তে ৫০ হাজার টাকা ঘুষ দাবী! ২০ হাজার টাকা দেওয়ায় হয়রানীর অভিযোগ গোদাগাড়ী থানার ওসি’র বিরুদ্ধে রাবি ক্যাম্পাসে মাথায় ব্যাডের আঘাতে রাজশাহী কলেজে শিক্ষার্থীর মৃত্যু! ভোলাহাটে জরিমানা করা সত্বেও ফের মাটিকাটার কাজ অব্যাহত!! রাজশাহীর পবায় ট্রাক চাপায় যুবদলকর্মী নিহত বদলগাছীতে নবাগত ইউএনও’র সাথে সাংবাদিকদের মতবিনিময়

নেত্রকোণার মদনে বাঁশের সাঁকো বেয়ে উঠতে হচ্ছে ব্রিজে ভোগান্তির শেষ নেই

Reading Time: 2 minutes

কামরুল হাসান, ময়মনসিংহঃ
নেত্রকোণা মদন উপজেলার তিয়শ্রী ইউনিয়নের তিয়শ্রী ও ফেকনি সড়কে মগড়া নদীর পাশে লোরি ভাঙ্গা খালের উপর ১৯৯৭ – ৯৮ অর্থবছরে ব্রিজটি নির্মিত হয়েছে। কিন্ত ওই ব্রিজে উঠতে জনগণের ব্যবহার করতে হচ্ছে বাঁশের সাঁকো। এলজিডি মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে ব্রিজটি নির্মিত হয় , কিন্ত দুই পাশের সংযোগ সড়কে মাটি না থাকায় তিয়শ্রী ইউনিয়নের তিয়শ্রী, শিবপাশা,বৈঠাখালি, বাগজান, ফেকনি, এই পাঁচ গ্রামের মানুষ প্রতিদিন ঝুঁকিপূর্ণ বাঁশের সাঁকো বেয়ে উঠে অতিকষ্টে ব্রিজটি পার হতে হচ্ছে। এ বিষয়ে তিয়শ্রী গ্রামের মাহারুফ মাস্টার, মহসিন, হাদিস মিয়া,বাগজান গ্রামের আব্দুল হাই, মনসুর মেম্বার,সবুজ মিয়া, ফরিদ মিয়া, ভবানীপুর গ্রামের, আতিক মিয়া ,বইটাখালী গ্রামের, ইসলাম উদ্দিন ,সিরাজ মিয়া, শিবপাশা গ্রামের পুতুল মিয়া, শাজাহান মিয়া, ইব্রাহিম মিয়া ,পাঁচ গ্রামের লোকজন জানান,দুই বছর ধরে আমরা যাতায়াতে চরম কষ্ট পোহাচ্ছি। বিশেষ করে বৃদ্ধ ও অসুস্থ , স্কুলগামী শিশুদের যাতায়াতে বেশি কষ্ট হচ্ছে। তারা আরও বলেন, ব্রিজটি নির্মাণের পর মাটি ছিল, দুই বছর ধরে ব্রিজের দুই পাশে মাটি না থাকায়, বর্ষার শুরুতেই চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। এরপর দুই বছর ধরে স্থানীয়রা এ ব্রিজের দুই পাশে বাঁশের সাঁকো তৈরি করে
পারাপারের জন্য। কষ্ট করে যাতায়াত করলেও, বৃদ্ধ অসুস্থ, শিশুদের নিয়ে চলাচলে খুব কষ্ট পোহাতে হয়। তারা আরো বলেন, দুই বছর ধরে এ ব্রিজে সংযোগ সড়কে মাটি না থাকায় এ সড়ক দিয়ে সরাসরি কোনো যানবাহন চলাচল করতে পারে না। ধান, চালসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস ও ভারি বোঝা মাথায় করে পার করতে হয়। এতে আমাদের খুবই কষ্ট হয়। স্থানীয় লোকজন অবিলম্বে ব্রিজটির দুই পাশে সংযোগ সড়ক নির্মাণের জোর দাবি জানান কর্তৃপক্ষের কাছে। এ বিষয়ে তিয়শ্রী ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মনসুর মিয়া বলেন, কতবার জানিয়েছি পরিষদে, কোন উপায় না পেয়ে আমার নিজের টাকা দিয়ে
বাঁশ ক্রয় করে সাঁকো করে দিয়েছে জনগণের রাস্তা পারাপারের জন্য। ব্রিজটি নির্মাণের পর মাটি ভরাট করা হয়েছিল। কিন্ত বন্যার পানির চাপে তা ভেঙে গেছে। ফলে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিয়শ্রী ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান ফখরুদ্দিন আহমেদ বলেন, বন্যার পানি সরে গেলে আবারও মাটি ভরাট করে চলাচলের উপযোগী করা হবে। এছাড়া ব্রিজটি নির্মাণের পর মাটি ভরাট করা হয়েছিল। কিন্তু বন্যার পানির তীব্র চাপে তা ভেঙে গেছে। পানি সরে গেলে মাটি ভরাট করে চলাচলের উপযোগী করে দেওয়ার চেষ্টা করব। মদন উপ-সহকারী প্রকৌশলী শাহরিয়ার কবির বলেন, কোথায় এ ধরনের ব্রিজ আছে, এ বিষয়ে আমার জানা নেই। ভোগান্তিতে জনগণ।

Please Share This Post in Your Social Media

Design & Developed BY Hostitbd.Com